শনিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৮

মানুষের মস্তিস্ককের ধারন ক্ষমতা কত গিগাবাইট???

এক কথায় বলা যায়, আমাদের মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা ১০ লক্ষ গিগাবাইট। আমরা হয়তো কোন গুরুগম্ভীর তাত্ত্বিক বিশ্লেষন শুনতে শুনতে কাহিল হয়ে অনেক সময় বলে বসি,  'প্লিজ থামুন' মাথায় আর কিছু ঢুকছে না। কিন্তু এটা কথার কথা। আমাদের মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা এত বেশি যে সারা জীবণ ব্যবহার করলেও তা শেষ হবে না। মানুষের মস্তিস্কে প্রায় এক বিললিয়ন বা ১০০ কোটি নিউরন আছে।প্রতিটি নিউরন অন্য প্রায় এক হাজার নিউরন এর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।এভাবে আমাদের মস্তিষ্কে প্রায় ১ হাজার বিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি নিউরন সংযোগ রয়েছে। যদি একটি নিউরন শুধু একটি স্মৃতি ধারণ করে তাহলে আমাদের মাথার স্মৃতির ধারণ ক্ষমতা শেষ হওয়া খুব কঠিণ।প্রতিটি নিউরন একাধিক নিউরন এর সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করে বলে একেক টি নিউরন একই সঙ্গে অনেক স্মৃতি ধারণ করতে পারে। ফলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা জ্যামিতিক হারে বাড়তে বাড়তে প্রায় ১০ লক্ষ গিগাবাইটে গিয়ে ধারায়।

ধারা যাক আমাদের মস্তিষ্ক একটি টেলিভিশনের ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার হিসাবে কাজ করে।তাহলে ১০ লাখ গিগাবাইট স্মৃতি এর ধারণক্ষমতা সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক নামক এই ভিডিও তে একটানা অন্তত ৩০ লাখ ঘন্টা ভিডিও শো দেখা যেত। অর্থাৎ তিনশ বছরেও শেষ হতো না।

বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭

ওয়াও! সংকেত।

ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ে আকাশ নিরীক্ষণ কেন্দ্রে কর্মরত জেরি এমান স্যাজিটেরিয়াস তারকাপুঞ্জ থেকে হঠাৎ এক অদ্ভুত বেতার বার্তা পেয়েছিলেন। সেই বার্তার অর্থ আজও অজানা। বিজ্ঞানীরাও এ বার্তার অর্থ উদঘাটন করতে পারেনি।

মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭

অজানা নভোচারী

অজানা নভোচারী ১৯৬৪ সালের ১৩ই মে জিম টেমপ্লেটন নামের একজন অগ্নি নিবারক কর্মী তার পাঁচ(৫) বছরের মেয়ের কয়েকটি ছবি তোলে। তার একটি ছবিতে একজন রহস্যময় নভোরচীকে দেখা যায়। কিন্তু জিমের মতে সেখানো সেদিন কেউ ছিলো না। কাউকে তিনি আসতে বা যেতে দেখেন নি। রহস্যময় ঐ লোকটি মহাকাশচারীদের মত পোষাক পরে ছিলো। আরো মজার ব্যাপার হলো তিনি বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছিলেন কিন্তু নভোচারীকে শুধু একটি ছবিতেই দেখা যায়। এই ছবিটি যে ইডিট করা হয়নি সে বিষয়ে সাক্ষ্য দে বিখ্যাত কোডাক

শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭

চাঁদ আভিযান এর অভিনয়

১৯৬৯ সালে চাঁদে যাওয়াটা সত্যি রহস্যময়। ১৯৬৯ সালে এটা প্রায় অসম্ভব ছিল।স্ট্যানলি কুবরি কি বলেছে এ ব্যাপারে তাই এখন দেখার পালা,ছবি গুলা দেখুন আর ভাবুন,কি সেই রহস্য হতে পারে।
মার্কিনীদের চাঁদে অবতরণ ইস্যুতে আমেরিকার বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিকের একটি সাক্ষাৎকার নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, মার্কিনীদের চাঁদে অবতরণের পুরো ঘটনা ছিল সিনেমা। তিনি নিজেই ওইসব দৃশ্য ধারণ করেছিলেন। তার মতে, সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতো করে ঘটনাটি সাজানো হয়েছিল। চলচ্চিত্র নির্মাতা টি. প্যাট্রিক মিউরে সম্প্রতি ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছেন। প্যাট্রিক মিউরে দাবি করেছেন, ১৯৯৯ সালে মৃত্যুর তিন দিন আগে স্ট্যানলি কুবরিক তাকে এ সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন। কিন্তু এতদিন তিনি তা প্রকাশ করেননি। তবে স্ট্যানলি কুবরিকের স্ত্রী ক্রিস্টিনা কুবরিক বলেছেন, তার স্বামীর সাক্ষাৎকারটি বানোয়াট। তিনি এ ধরনের কোনো সাক্ষাৎকার দেন নি বলে দাবি করেছেন ক্রিস্টিনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬৯ সালে চাঁদে মানুষ পাঠানোর দাবি করে। কিন্তু বিশ্বের বহু বিজ্ঞানীই যুগে যুগে এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, নাসার মাধ্যমে আমেরিকার চাঁদে মানুষ পাঠানোর ঘটনাটি ছিল শুধুই সাজানো নাটক। উন্নত বিশ্বের অনেক বিজ্ঞানীর ধারণা চাঁদে যাওয়ার এই নাটকের শুটিং করা হয়েছিল দুর্গম কোনো মরু অঞ্চলে, যেখানে নাটক সাজালে কেউ বুঝতে পারবে না। হলিউডে মার্কিন পরিচালকরা এত অবিশ্বাস্য সব সিনেমা তৈরি করে থাকেন যে তাদের পক্ষে এরকম একটি চন্দ্র বিজয়ের শুটিং করা খুবই সহজ ব্যাপার। কিছু কিছু বিজ্ঞানী এই চন্দ্র বিজয় নাটকের পরিচালকের বলেছিলেন। তারা দাবি করেছিলেন, এই মিথ্যা কাহিনীর পরিচালক ছিলেন বিখ্যাত মার্কিন পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক। এবার সেই কুবরিকের সাক্ষাৎকার প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে নতুনকরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা নাসার সমালোচনা করে বলেন,১৯৬৯ সালে নাসার এমন কোনো উন্নত প্রযুক্তি ছিল না যা দিয়ে মানুষ চাঁদে গমন করতে পারে। এপোলো-১১ নামের মহাকাশ যানটি ছিল সাজানো নাটকের অংশ। মানুষ সত্যিই চাঁদে গেছে নাকি এটা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতারণা সেটা আরো বেশি ঘনীভূত হয় মার্কিন রকেট প্রযুক্তি তত্ত্বের প্রবক্তা বিল কেসিংয়ের বক্তব্যের পর। ১৯৭৪ সালে তিনি একটি বই লেখেন ‘আমেরিকার ৩০ বিলিয়ন ডলারের জোচ্চুরি’ শিরোনামে। এই গ্রন্থে তিনি উল্লেখ করেন আমরা কখনই চাঁদে যাইনি। চাঁদে যাওয়ার বিষয়টি ছিল বিশ্ববাসীর সঙ্গে প্রতারণা। তিনি আরো উল্লেখ করেন এপোলো-১১ মহাকাশ যানটি উৎক্ষেপণের কিছু সময় পর যানটি অদৃশ্য হয়ে যায়। এরপর তিন নভোচারী বিশিষ্ট লুনার ক্যাপসুলটি একটি সামরিক কার্গো বিমানে সরিয়ে ফেলা হয় এবং আট দিন পর ক্যাপসুলটি প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলে দেয়া হয়। তারপর নভোচারীদের নিয়ে নেভাদার মরুভূমিতে কঠোর সামরিক প্রহরার মধ্য দিয়ে চন্দ্র বিজয়ের নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়। মহাকাশচারীরা চাঁদে অবতরণ করার পর সেখানে তাদের কয়েকটি ছবি ও ভিডিও তোলা হয় এবং চন্দ্র থেকে তারা কয়েকটি পাথর সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। এই ছবি,ভিডিও ও পাথরগুলো তাদের সত্যিকারের চাঁদে যাওয়ার প্রমাণ বহন করে। যারা চাঁদে মানুষ অবতরণকে সাজানো নাটক বলে মনে করেন, তারা এর পক্ষে প্রমাণ হিসেবে বেশ কয়েকটি যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। পৃথিবী থেকে আমরা রাতের আকাশে নক্ষত্র বা তারকা দেখতে পাই সুতরাং চাঁদের রাতের আকাশে তারকাগুলোকে আরো উজ্জ্বল দেখানোর কথা। কিন্তু নভোচারীরা চাঁদে গিয়ে যে ছবিগুলো তুলেছেন তাতে কোনো ছবিতে চাঁদের আকাশে তারকা দেখা যাচ্ছে না। চাঁদ থেকে ফেরার পর মহাকাশচারীরা বলেছিলেন সেখানে কোনো অক্সিজেন বা বাতাস নেই ফলে সেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় এক মিনিটও বাঁচা সম্ভব নয়। কিন্তু চাঁদে থাকতে মহাকাশচারীদের যে ছবি তোলা হয়েছিল তাতে দেখা যায় চাঁদে তাদের পুঁতে রাখা মার্কিন পতাকা বাতাসে উড়ছে। তাহলে চাঁদে বাতাস না থাকলে তাদের পতাকা বাতাসে উড়ছিল কীভাবে। সেটা কী তাহলে পৃথিবীর বাতাস ছিল! ছবিতে দেখা যায় নভোচারীরা যেখানে অবতরণ করেছিলেন সেখানে পাশাপাশি বস্তুগুলোর ছায়া পরস্পরকে ছেদ করেছে এবং বিভিন্ন বস্তুর ছায়া বিভিন্ন দিকে গেছে। কিন্তু চাঁদে শুধু আলোর উৎস সূর্য হয়ে থাকলে বস্তুর ছায়া পরস্পরকে ছেদ না করে সমান্তরাল হওয়ার কথা। তাহলে কি সেখানে শুটিং করার সময় কৃত্রিম আলো ব্যবহার করা হয়েছিল! মানব ইতিহাসে চন্দ্র বিজয় ছিল সবচেয়ে বড় ঘটনা তারপরও এই অভিযানের টেলিমেট্রি ডাটা পরে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশ্য নাসা বলেছিল এই ডাটা তাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ডাটা তাদের কাছ থেকে কীভাবে হারিয়ে যায় সেটা একটি প্রশ্নের বিষয়। এ সব বিষয়গুলো ছাড়াও ছোটখাটো অনেক অমীমাংসিত প্রশ্ন লুকিয়ে আছে চন্দ্র বিজয় কাহিনীতে। চন্দ্র বিজয় কর্মকাণ্ডে জড়িত নভোচারীদের মধ্য থেকে গাস গ্রিসাম নামের এক নভোচারী চন্দ্র জয়ের পর নিহত হন। অনেকের ধারণা, তিনি আমেরিকার ওই প্রতারণা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন।

অন্য আারেক পৃথিবীর উপগ্রহ।

পৃথিবীর চাঁদ ছাড়া কি কোনো উপগ্রহ আছে? গবেষকেরা সম্প্রতি পৃথিবীর কাছাকাছি একটি গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন, যাকে ঠিক চাঁদ না বললেও পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা স্থায়ী উপগ্রহের মর্যাদা দিচ্ছেন। সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তন করার পথেই পৃথিবী পড়ে যায় বলে পৃথিবীকেও চক্কর দিতে হয় ছোট এই গ্রহাণুটির। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা এই ক্ষুদ্র গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন। তাঁর এর নাম দিয়েছেন ‘২০১৬ এইচও ৩ ’। গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবী থেকে এর দূরত্বের কারণেই এটাকে পৃথিবীর আরেক চাঁদ বা সত্যিকারের উপগ্রহের তালিকায় ফেলা যাচ্ছে না। তবে ‘কোয়াসি-স্যাটেলাইট’ বা পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা সঙ্গীদের মধ্যে এটি সর্বপেক্ষা সেরা ও স্থায়ী একটি উদাহরণ। ক্ষুদ্র এ গ্রহাণুটি আমাদের সঙ্গে শত বছর ধরে আছে এবং ভবিষ্যতে আরও শত শত বছর ধরে থাকবে। নাসার গবেষকেরা বলেন, সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে গ্রহাণুটি অর্ধেকের বেশি সময় পৃথিবীর চেয়ে অধিক সময় সূর্যের কাছাকাছি থাকে এবং পৃথিবীর চেয়ে এগিয়ে থাকে। বাকি অর্ধেক সময় পৃথিবীর চেয়ে পিছিয়ে পড়ে। কক্ষপথের কারণে এটি পৃথিবীর সঙ্গে কিছুটা ওঠানামার খেলা করে। চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোর্তিবিদ্যা ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা বিশেষ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে গ্রহাণুটি আবিষ্কার করেন।

শুক্র গ্রহে ছিল প্রাণ।

শুক্র গ্রহে ছিল প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ! ২০০ কোটি বছর আগের শুক্র গ্রহের সঙ্গে এখনকার শুক্রকে মেলানো যাবে না। এখনকার শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৪৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে কোনো বাষ্পের অস্তিত্ব পর্যন্ত নেই। অতীতে এই শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল বলে ধারণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা। নাসার গবেষকদের মতে, ২০০ কোটি বছর আগে গ্রহটিতে তরল পানির সমুদ্র ছিল। সেই সঙ্গে পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রাণ ধারণের উপযোগী ছিল। নাসার গোডার্ড ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজের গবেষকেরা কম্পিউটার মডেল তৈরি করে গ্রহটির অতীত আবহাওয়ামণ্ডলের চিত্র তৈরি করেছেন। গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার’ সাময়িকীতে। গবেষণা নিবন্ধের লেখক মাইকেল ওয়ে বলেন, ‘পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তনের মডেল তৈরিতে যেসব টুল ব্যবহার করা হয়, তা অন্য গ্রহের অতীত ও বর্তমান অবস্থা জানতে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এখনকার শুক্র গ্রহ অতীতে অন্য রকম স্থান ছিল। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই ধারণা করেন, পৃথিবীর মতোই উপাদান দিয়ে শুক্র তৈরি। তবে বিবর্তনের পথ আলাদা। ১৯৮০ সালে নাসার পাঠানো পাওনিয়ার মিশনের তথ্য অনুযায়ী, শুক্র গ্রহে সমুদ্র ছিল। ভাই আপনার কি মনে হয়, আমার মতে ত এটা অস্মভ।

সূর্যের বয়স বাড়লে পৃথিবী কেমন দেখাবে।

সূর্য বুড়ো হলে কেমন হবে পৃথিবীর চেহারা? বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিদেরা একটি মৃতপ্রায় প্রবীণ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। পৃথিবী থেকে ২০৮ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ওই নক্ষত্রটি। এর নাম এল ২ পাপিস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই নক্ষত্রটি পর্যবেক্ষণের ফলে কয়েক বিলিয়ন বছরের মধ্যে সূর্য বুড়ো হলে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। গবেষকেরা বলছেন, ১০ বিলিয়ন বছর বয়স (এক বিলিয়ন সমান ১০০ কোটি) এল ২ পাপিস নক্ষত্রটির। পাঁচ বিলিয়ন বছর আগে এই নক্ষত্রটি ঠিক আজকের সূর্যের মতো ছিল। বেলজিয়ামের কেইউ লিউভেন ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমির অধ্যাপক লিন ডেসিন বলেন, এখন থেকে পাঁচ বিলিয়ন বছর পরে আমাদের সূর্য লাল দানব (রেড জায়ান্ট) নক্ষত্রে রূপান্তরিত হবে। এ সময় সূর্যের আকার বর্তমানের চেয়ে শতগুণ বেড়ে যাবে। অধ্যাপক ডেসিন বলেন, শক্তিশালী নাক্ষত্রিক ঝড়ে সূর্যের তীব্র ভর কমে যাবে। এর বিবর্তন-প্রক্রিয়ার শেষে সাত বিলিয়ন বছর পরে এটি ক্ষুদ্র সাদা বামন তারায় রূপান্তরিত হবে। এ সময় এটি পৃথিবীর মতো ছোট আকার ধারণ করবে। কিন্তু এটি হবে আরও ভারী। এই সাদা বামন তারার এক চা-চামচ উপাদানের ভর দাঁড়াবে প্রায় পাঁচ টন। এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সৌরজগতের গ্রহগুলোর ওপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। বৃহস্পতি, শুক্রের মতো গ্রহগুলো বিশাল নক্ষত্রের মধ্যে হারিয়ে যাবে এবং ধ্বংস হবে। ডেসিন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে সূর্য আরও বড় ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। তাই এটি পৃথিবীকেও ধ্বংস করে ফেলবে।’ ডেসিন বলেন, পৃথিবীর পাথুরে অভ্যন্তর সূর্যের সেই লাল দানব দশায় টিকে থেকে সাদা বামন অবস্থা পর্যন্ত একে প্রদক্ষিণ করবে কি না, তা দেখার বিষয়। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জ্যোতির্বিদেরা এল ২ পাপিসকে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। পৃথিবী থেকে মাত্র ২০৮ আলোকবর্ষ দূরের এই নক্ষত্রটি মহাজাগতিক হিসেবে খুব কাছের। গবেষকেরা পর্যবেক্ষণের সময় এল ২ পাপিসের ৩০ কোটি কিলোমিটারের মধ্যে একটি বস্তু দেখেছেন, যা ওই নক্ষত্রটিকে আবর্তন করছে। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব এর অর্ধেক। গবেষকেরা তাই ভাবছেন, নক্ষত্রটি পর্যবেক্ষণ করে পাঁচ বিলিয়ন বছর পরে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে তা জানা যাবে।

মানুষের মস্তিস্ককের ধারন ক্ষমতা কত গিগাবাইট???

এক কথায় বলা যায়, আমাদের মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা ১০ লক্ষ গিগাবাইট। আমরা হয়তো কোন গুরুগম্ভীর তাত্ত্বিক বিশ্লেষন শুনতে শুনতে কাহিল হয়ে অনেক সময়...